Power Factor

তড়িৎ প্রকৌশল এর ভাষায় পাওয়ার ফ্যাক্টর সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা

পাওয়ার ফ্যাক্টর : তড়িৎ প্রকৌশল এর ভাষায় পাওয়ার ফ্যাক্টর হল, একটিভ পাওয়ার এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত কে বুঝায়। সহজ ভাবে বলা যায়, ভোল্টেজ ও কারেন্টের মধ্যবর্তী কোসাইন কোণকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলা হয়। পাওয়ার ফ্যাক্টর কে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মূলতঃ যার মান ০ থেকে ১ পর্যন্ত হয়। আমরা প্রয়োজনীয় কাজে শতকরা (%) কতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারি, এটাই পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্দেশ করে। একটিভ পাওয়ার (Active Power Factor) KW (কিলোওয়াট) দ্বারা পারিমাপ করা হয় এবং এ্যাপারেন্ট পাওয়ার VA দ্বারা (ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার) দ্বারা পরিমাপ করা হয়।

একটিভ পাওয়ার কি?
আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি, তাই হল একটিভ পাওয়ার

এ্যাপারেন্ট পাওয়ার কি?
একটিভ পাওয়ার আর রিএকটিভ পাওয়ারের যোগফলকেই এ্যাপারেন্ট পাওয়ার বলে।

পাওয়ার ফ্যাক্টর কত প্রকার ও কি কি?

পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকার।
১। ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর।
২। লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর।
৩। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর।

১। ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর:
যে সার্কিটে কারেন্ট ভোল্টেজের পিছনে থাকে তাকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।

২। লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর: যে সার্কিটে ভোল্টেজ কারেন্টের পিছনে থাকে তাকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।

৩। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর: যখন সার্কিটে কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এক সাথেই অবস্থান করে। সহজ ভাবে বলা যায়, যখন সার্কিটে ইন্ডাক্টিভ লোড এবং ক্যাপাসিটিভ লোড সমান থাকে, তখন তাকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।

Leading-Power-Factor-Raita-Tech
Leading Power Factor Raita Tech
Lagging-Power-Factor
Lagging Power Factor-Raita Tech
Unity-Power-Factor
Unity Power Factor

 

পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান কম হলে সিস্টেমে কি অসুবিধা হয়
১। লাইনের লস বেড়ে যায়।
২। তারের আয়তন অনেক বেশি লাগে।
৩। ইউনিট কস্ট বেড়ে যায়।

প্রিয় দর্শক, আশা করি আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে পাওয়ার ফ্যাক্টর সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছেন। এই ব্লগ সাইটে আমরা বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে আলোচনা করে থাকি।